তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে আঙ্কারা সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এবং লেবাননে ইসরায়েল যে গণহত্যা ও বর্বর আগ্রাসন চালাচ্ছে তার প্রতিবাদে তুরস্ক এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।

এ বিষয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট তার সৌদিআরব এবং আজারবাইজান সফর শেষ করে দেশে ফেরার পথে বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তুরস্ক আর ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখবে না। তিনি আরও বলেন, তুরস্কের ক্ষমতাসীন জোট এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং ভবিষ্যতেও এ অবস্থান ধরে রাখবে।

এরদোগান আরো বলেন, ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের জন্য তুরস্ক শক্ত জবাব দিয়েছে। তিনি এই সংঘাতের জন্য ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন। গণহত্যার বিষয়টিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হবে, এবং আমি আমার ক্ষমতার ভিতরে থেকে সবকিছু করব যাতে তাকে এই বিষয়ে জবাবদিহি করা হয়।

ইসরায়েলে পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র চালান পাঠানো নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান পাঠানো অব্যাহত থাকবে, ততক্ষণ ইসরায়েল আরো বেশি আগ্রাসী হবে এবং ফিলিস্তিন ও লেবাননের পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা-ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর থেকে তেলআবিবের সঙ্গে আঙ্কারার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরো কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে তুরস্কের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানামুখী সমালোচনা রয়েছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্ক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করেনি। গত মে মাসে গাজা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তুরস্ক ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

এছাড়া, ইসরায়েলে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠানো হয় কিন্তু তেলআবিবে তুরস্কের দূতাবাস এখনো চালু রয়েছে।